বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গলাচিপার ২’য় বৃহত্তম নগরী উলানিয়া বাজার রক্ষার্থে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান কলাপাড়ায় হঠাৎ বিকট শব্দে সেতু ভেঙ্গে খালে।। ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ কলাপাড়ায় দিন দুপুরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি বরিশালে গনতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য এর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন বাউফলে সাংবাদিককে ইউএনও’র জেল দেয়ার হুমকি সাম্যের খুনীদের ফাঁসির দাবীতে বিএম কলেজ ছাত্রদলের মশাল মিছিল কলাপাড়া স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত বাউফলের ঢাকাগামী লঞ্চে যাত্রী সেজে মদ পাচারকালে এক যুবক গ্রেফতার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১৬ জেলে আটক বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান বিএনপির দলীয় পরিচয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে হুমকি থানায় জিডি লাউকাঠীতে নদীর পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু সবুজ আকনের নেতৃত্বে সাম্যের খুনীদের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাউফলে এক প্রতারক পুলিশের হাতে আটক তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা
দ্বিতীয় দিনেও চলছে লঞ্চ ধর্মঘট

দ্বিতীয় দিনেও চলছে লঞ্চ ধর্মঘট

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লঞ্চ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মত চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল।

ধর্মঘটে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে দ্বীপজেলা ভোলা। এতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘাটগুলো যেন সুনসান নিরবতা। নেই হকারদের হাক-ডাক, নেই কোলাহল। ঘাটেই নোঙর করা কয়েকটি লঞ্চ। শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। কোন কোন যাত্রী ঘাটে এসে নৌযান না পেয়ে ফিরে গেছেন। কেউ আবার বিকল্প ব্যবস্থা গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্ট্ করছেন।

সোমবার (২৮ অক্টেবর) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা, ভেদুরিয়া থেকে  অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ভোলা-লক্ষীপুর রুট থেকেও ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ।

এসব ঘাটে অনেক যাত্রী আসলেও তারা গন্তব্যে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত ফিরে গেছেন।  সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশুরা।

যাত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, ভোলায় এসেছিলাম বেড়াতে, এখন বরিশাল যাব। কিন্তু কোন লঞ্চ পাচ্ছি না। ছোট ট্রলারে কিভাবে যাবে। এটা তো অনেক ঝুঁকির ব্যাপার।

আরেক যাত্রী আকতার হোসেন ও নিরব বলেন, আমরা জানতাম না যে লঞ্চ ধর্মঘট চলছে। ঘাটে এসে দেখি এমন অবস্থা। এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছি।

নাসরিন আক্তার নামের অপর এক যাত্রী বলেন, শ্রমিকদের দাবির কাছে আমাদের কেন দুর্ভোগ পোহাতে হবে, লঞ্চ বন্ধ রেখে এভাবে যাত্রীদের বিপদে ফেলা দেওয়ার কোন মানে হয় না।

এদিকে ভেদুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে কিছুটা ভিন্ন চিত্র।  ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিড বোর্ট চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব নৌযানে ভাড়া নিচ্ছে অনেক বেশি।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হোসেন বলেন, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। লঞ্চ মালিক পক্ষ আমাদের এখনও ডাকেননি। তারা দাবি না মানলে আমাদের কর্মবিরতি চলমান থাকবে।

এদিকে লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে বরিশালের ৬ জেলার ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে পড়েছে। তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে – ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, নৌ দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, রাতে নৌযান চলাচল শিথিল করা, ভারতগামী জাহাজ ল্যান্ডিং করার পাস এবং কল্যাণ তহবিল গঠন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD